
16/05/2025
৫ অগাস্ট বেলা শেষে আমিই প্রথম লিখেছিলাম একটি রক্তপাতহীন ক্যু হয়ে গেছে বাংলাদেশে। তার পরই লিখেছিলাম যেটাতে সহায়তা করেছে একটি কিশোর গ্যাং, লিখেছি ৫ অগাস্ট পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনাকে মব দ্বারা খুন করে সারা শহরে তার লাশ টেনে নিয়ে বেড়ানো। যেমন ইরাকে হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল একটি গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে আওয়ামী লীগের সকল কর্মীদের হত্যা করা, তাদের সমর্থক ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল মানুষকে নীরব করা। পুলিশকে অকেজো করে মিলিশিয়া তৈরি করা, এটাই জাপানের রেড পার্জ মেথড।
আমিই প্রথম লিখেছি যে এই পরিকল্পনাতেই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার মত জাকার্তা মেথড বাস্তবায়নের জন্য যার লক্ষ্য একই। যার লক্ষ্য ছিল একটি গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে আওয়ামী লীগের সকল কর্মীদের হত্যা করা, তাদের সমর্থক ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল মানুষকে নীরব করা। এগুলো সবই সিআইএ এর ফর্মুলা যেটা বাস্তবায়নের ভার নিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এবং তাদের সহযোগীতা করছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ সেই স্বাধীনতার সময় থেকে। এর কারণ পাকিস্তান তাদের ৭১ এর পরাজয় এখনও মেনে নেয়নি। এই কাজে তারা নিয়োগ করেছে জামাত-শিবির-বিএনপিকে যার নেতৃত্বে আছে পাকিস্তানের আইএসআই।
এটা এতদিনে সম্পূর্ণরূপে সফল না করতে পারলে ২০০৯ এর পর থেকে এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে আমেরিকান সেনাবাহিনীর সাই-অপস ট্যাকটিক ও জর্জ সোরস ও মার্কিন ডিপ স্টেটের সফট পাওয়ার পলিটিক্স। যেটা বাস্তবায়নে ছিল ইউএসএআইডি এবং সিপিডি, টিআইবি, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো - এই অ্যান্টিপলিটিক্যাল এনজিও-মিডিয়া দেশদ্রোহী নেক্সাস।
এই সব কিছুর মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমেরিকার বঙ্গোপসাগরে দখল নেওয়া ও বাংলাদেশকে একটি কলোনিতে পরিণত করা। সাদ্দাম, গাদ্দাফি, আসাদ যেমন ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আমাদের শেখ হাসিনার প্রাণ নিতেও তেমনই বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। নিজের দেশের শিক্ষিত গাদ্দাররা কিভাবে নিজেদের ভবিষ্যত নষ্ট করে এবং কিভাবে দেশের সামরিক বাহিনী একটি শান্তিপূর্ণ অগ্রগতিশীল সম্ভাবনাময় সমাজকে একটি দোজখে পরিণত করতে পারে তার উদাহরণ হল ইরাক। বাংলাদেশও আস্তে আস্তে ইরাকে পরিণত হচ্ছে। সেটা নিয়েই লেখা "আস্তে আস্তে ইরাক" সিরিজটি।
এটা যখন লিখি তখন অনেকেই অবিশ্বাস করেছিলেন। এখন করিডোরের নামে সেই বাংলাদেশ দখল বাস্তব সত্য। যেখানে পরিষ্কার যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়োগ করেছে বর্তমান সরকারকে যারা মার্কিন স্বার্থে কোন রাখঢাক না করেই কাজ করছে। এমনকি মার্কিন সরকার সেনাবাহিনীর একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেই খবর আসছে।
যদিও এগুলো সবই করা হচ্ছে মার্কিন স্বার্থে কিন্ত শিকারীর সাথে যেমন কুকুর থাকে এবং সে ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খায়, তেমনই হল পাকিস্তান। যারা এই মার্কিন অপারেশনকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ভারত এবং তার সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায় বাংলাদেশকে ও রেহিঙ্গাদের কাজে লাগিয়ে। আশ্চর্য যে পাকিস্তানের এই পুরো ষড়যন্ত্রটির লক্ষ্য হল ভারত, অথচ এত বড় ভারতবিরোধী ঘটনা, যার ফলে ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা, সেটা ভারত চেয়ে চেয়ে দেখছে।
বাংলাদেশ যে ইরাক হচ্ছে তার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ইউক্রেন বানানো। যেটার উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্ত্র দিয়ে, কোটি কোটি সস্তা ইসলামী মিলিশিয়া তৈরি করে ভারকে দুর্বল করে ভেঙ্গে ফেলা। এর পেছনে দুটি নোবেল খরচ করা হয়েছে আর আছে দাভোসের শয়তানেরা। একই সাথে তাইওয়ান চীন যুদ্ধ ও ভারত ভাঙার কাজ শুরু হবে। পেহেলগামের ঘটনা তার শুরুর সংকেত। সিআইএ এবং সারা দুনিয়ার এমএমএ বা মোল্লা মিলিটারি এলায়েন্স যে একই শক্তি এটা মানুষ কবে বুঝবে?
- Sirajul Hossain