Ovishopto Valobasha

Ovishopto Valobasha ꧁༒☬SHᎥHᕱB☬༒꧂, ꧁༒☬Ⓢⓗⓘⓗⓐⓑ☬༒꧂, Bd࿐SHIHAB ʸᵀ, ᛔᴰ〲ꢺᴴ ɪ ᴴꫝ𝔅༒FF, ꧁༒☬SᕼIᕼᗩᙖ☬༒꧂, ꧁༒☬ˢʰᶤʰᵃᵇ☬༒꧂.

03/11/2022

# # # # # # # #শ্রাবন আধারে তুমি পর্ব # # # # # # # #
*
*
*
অনেক দূর থেকে ফজরের আজান কানে আসতেই চোখের পানি মুছে নিলাম ৷ আমার বিয়ের দেড় বছর হয়ে গেছে কিন্তু এখনো স্বামীর সাথে একটা কথা বলতে পারি নি ৷আমাকে বিয়ে করে চলে গেছে আমেরিকা ৷আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিলাম ৷অতঃপর নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালাম ৷
নামাজ শেষ করে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ালাম ৷বড্ড মাথা ব্যাথা করছে তাই চুলায় গরম পানি বসালাম চা বানাতে ৷ চা বানিয়ে নিজের ঘরে এলাম আবারো ৷ বিছানায় বসে চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ চোখ পড়লো একটা ছবির ওপর ৷মূহুর্তেই ভুলে গেলাম মাথা ব্যাথার কথা ৷ছবিটা হাতে তুলে নিলাম ৷আমার চোখে জল রাশি জমা হয়েছে ৷ ছবিটা আর কারো নয় আমার স্বামীর ৷হাত বুলিয়ে দিলাম তার ছবিতে ৷তাকে কখনো ছুয়ে দেখা হয় নি ৷আচ্ছা আমি কি কখনো তাকে ছুতে পারবো নিজের হাতে ৷আমার বুকটা ভারী হয়ে গেল ৷
আচ্ছা সেও কি আমার কথা ভাবে ৷সেও কি আমার কথা ভেবে রাত জাগে ৷এই যে আমি তার অপেক্ষায় শত শত রাত পার করে দেই ৷এই যে আমি গাড়ীর আওয়াজ পেলেই ছুটে যাই সে আসবে বলে ৷কিন্তু সে আসে না একবারও ৷সেও কি আমার কথা ভাবে ৷সেও কি আমার কাছে আসতে চায় ৷আচ্ছা সে যদি জানতে পারে আমার রাত জাগার কারন সে তাহলে কি করবে ৷ আর ভাবতে পারলাম না কারন আমার হাতের কাপটা নিচে পরে গেছে ৷ তার কথা ভাবতেই আমার শরীর এতটা কাপঁতে ছিল যে চায়ের কাপটা হাত থেকে পরে গেছে ৷
আমার নাম রাই ৷আমার বয়স আঠারো বছর ৷মামা আর মামির কাছে আমি বড় হয়েছি ৷ আর আমার স্বামী আবরার খান জয় ৷ সে পেশায় ব্যবসায়ী ৷আর বাকিটা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন ৷
আবরার ছবিটা খুব যত্ন করে শাড়ীর আচঁল দিয়ে পরিষ্কার করলাম ৷ ছবিটা বিছানার পাশে রেখে ভাঙ্গা কাচ গুলো পরিষ্কার করে নিলাম ৷ হঠাৎ করে একটা কাচ আমার হাতে ঢুকলো ৷ হাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলাম ৷মনে পরে গেল অতিতের কথা ৷
আমার তখন ১০ বছর বয়স ৷আমি গ্রামের সাধারন একটা পরিবারের মেয়ে ৷আমার মা ক্যান্সারে মারা গেছে যখন আমার দশ বছর ৷মা মারা যাওয়ার পর বাবা আবারো বিয়ে করে ৷সৎ মা আমাকে একদম দেখতে পারতো না ৷আমার বাবার গ্রামের বাজারে কাপড়ের দোকান ছিল অনেক বড় ৷বাবা সারাদিন পর বাড়ীতে আসলেই সৎ মা আমার নামে মিথ্যা বলে বিচার দিত ৷আমার নিষ্ঠুর বাবা সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই আমাকে শাস্তি দিত ৷আমার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মামা আমাকে তার কাছে নিয়ে আসেন ৷আমার মামা গ্রামের চেয়ারম্যান ৷গ্রামে মামার মোটামুটি ভালোই দাপট আছে ৷মামা আমাকে অনেক ভালোবাসতো ৷কিন্তু মামি আমাকে একদম দেখতে পারতো না ৷আমাকে দিয়ে বাড়ীর সব কাজ করাতো ৷ এভাবেই দিন যাচ্ছিলো ৷ আস্তে আস্তে আমি বড় হতে লাগলাম ৷
আমার যখন প্রায় সতেরো বছর তখন এক বৈশাখী ঝড়ের মতো আবরার আমার জীবনে আসে ৷আবরার এসেছিল তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে আমাদের গ্রামে ৷আবরারকে আমি চিনতামও না ৷সবই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু এক কাল বৈশাখী ঝড় আমার জীবনটা এলোমেলো করে চলে গেল ৷
এই রাই কোথায় গেলি ৷মামির গলার আওয়াজ শুনে রান্নাঘর থেকে দৌড়ে তার কাছে গেলাম ৷আমি যেতেই মামী বলল
হ্যা রে নাবাবের বেটি এত সময় লাগে আসতে ৷
রাই নিচু স্বরে বলল মামী আসলে আমি খাচ্ছিলাম তাই ৷
হ্যা সারাদিন শুধু গেলা আর অন্ন ধ্বংস করা তাই না ৷এই নে টাকা আজ স্কুল থেকে আসার সময় এই ঔষুধ গুলো নিয়ে আসবি ৷
ঠিক আছে মামী রাই বলল ৷
একটু পরেই রাই স্কুলে চলে গেল ৷স্কুল শেষ করে ঔষুধ কিনে নেয় রাই ৷কিন্তু তার পরেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে ৷রাই তিন ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে একটা দোকানের পাশে ৷ঐ দিকে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ৷রাই কোনো কুল না পেয়ে এবার দৌড় দেয় বৃষ্টিতে ৷ এদিকে মেঘে চারিদিকে অন্ধকার ছেয়ে গেছে ৷কোথাও কোনো মানুষের চিহ্ন নেই ৷রাই দৌড়াতে দৌড়াতে একটু দুরেই একটা কুড়ে ঘর দেখতে পেল ৷রাই ঐ ঘরটার দিকে দৌড়ে গেল ৷রাই ঘরটায় প্রবেশ করতেই তার মুখে ভয় এসে জমা হলো ৷কারন ঐ ঘরে একটা ছেলে বসে আছে খড়ের পাশে ৷ছেলেটাও রাইকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেল ৷এদিকে রাইয়ের ভিজে যাওয়া শরীরে লেপ্টে যাওয়া জামার দিকে তাকিয়ে ছেলেটির নাজেহাল অবস্থা ৷রাই যে তাকে ভয় পাচ্ছে ছেলেটা বুঝতে পেরে বলল
আমাকে ভয় পেতে হবে না ৷আমিও তোমার মতো বৃষ্টিতে আটকে গেছি পুচকি ৷ বৃষ্টি থামার আগে তুমি চাইলে এখানে বসতে পারো ৷ছেলেটাকে রাইয়ের খারাপ মনে হলো না ৷রাই ছেলেটার থেকে অনেক দুরে বসলো ৷রাইকে স্বাভাবিক করার জন্য ছেলেটা বলল তোমার না কি ?
রাই কাপাঁ গলায় বলল আমার নাম রাই ৷আপনার কি নাম ?
ছেলেটা জবাব দিল আমার নাম আবরার খান জয় ৷
আপনাকে তো কখনো দেখি নি ৷আপনি কি এলাকায় নতুন ৷
আসলে আমি আমার বন্ধুর বাড়ীতে বেড়াতে এসেছি ৷একটু দরকারে বেড়িয়ে ছিলাম ৷কিন্তু দেখ বৃষ্টির জন্য আটকে গেলাম ৷তুমি কেন আটকে গেলে বৃষ্টিতে ৷
স্কুল শেষ করে মামার ঔষুধ কিনতে দেরি হয়েছে ৷
ও তুমিতো শীতে কাপঁছো ৷তুমি আমার এই শার্টটা পড়তে পারো ৷
না থাক লাগবে না ৷
আরে নাও ৷ভালো লাগবে ৷
রাই শার্টটা নিল ৷এমনিতেও তার শীত লাগছিল অনেক ৷
এমন অনেক কথা হলো রাই আর আবরার মাঝে ৷কথা বলতে বলতে দুইজন যে কখন ঘুমিয়ে গেছে তা বুঝতেই পারলো না ৷আর এটাই ওদের কাল হয়ে দাড়ালো ৷
শ্রাবন আধারে তুমি
BY.Op_‌Shihab★♪♥

21/10/2022

প্রতারণা – valobashar dukher golpo: লিমা তোমার এটা করা ঠিক হলনা কিন্তু। প্রতারকের মুখ আমি দেখতে চাই না। তাও তাকেই আমার সামনে নিয়ে আসলে। কেনো কোন মুখ নিয়ে এসেছে আমার সামনে?

পর্ব ১

আমি সুস্থ হওয়ার পর সবকিছু আবার আগের মতোই ভালো চলছিল আমাদের দিনকাল।
নীলা আর আমার ভালোবাসা অনেক গভীরে চলে যায় যা একেওপরকে ছাড়া মোটেও থাকতে পারে না।

আমি নীলাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি যা আপনাদের বলে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নয় পরস্পর নীলাও ঠিক তাই আমাকে পাগলের মত ভালোবাসে। কিন্তু এ ভালোবাসা কি সারাজীবন থাকবে? হয়তো হ্যা হয়তো না
সেদিনের মতো ভুল বুঝাবুঝির পর নীলা আমাকে কখনওই আর কষ্ট দেয়নি।

অনেকটা খেয়াল রাখে সে ফোনের পর ফোনে যোগাযোগ রাখে। বিষয়টা পরিবারের সকলে জানাজানির পর আমাদের সম্পর্ক মেনে নেই এবং বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ তাই বিয়েতে কারোর মত বা বাধা নেই।
এক মাস পর আমাদের বিয়ে।
যতোই দিন যায় ততোই যেনো বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে।

বিয়ের কিছু দিন আগে নীলা হঠাৎ কেনো যানি পাল্টে যেতে থাকে যা আমি কখনো কল্পনা করিনি। হঠাৎ করে কথা বলা বন্ধ। ফোন করলে ফোনে বিজি কখনো বা একটু কথা বলে ফোন বন্ধ কেমন যেন এড়িয়ে চলতে থাকলো।

যে মানুষ আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারে না। আজ সে কেমনে থাকতে পারছে না কথা বলে। এর পেছনে কি কারন থাকতে পারে?

নেক কষ্ট দিচ্ছিলো বার বার কি করবো কিছু মাথায় আসছিল না। তাই কিছু না ভেবেই বিষয়টা জানার জন্য নীলাদের বাসায় যায়।

তারপর কলিং বেল বাজাতেই নীলার মা মানে আন্টি দরজা খুলে দিলেন।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
আন্টিঃ অলাইকুম আসসালম আরে মতিউর তুমি কেমন আছো বাবা তুমি!
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আন্টি আপনি কেমন আছেন!
আন্টিঃ ভালো বাবা আসো ভিতরে আসো বসো।

আমিঃ না মানে আন্টি আসলে আমি বেশিক্ষণ বসবো না। একটু নীলার সাথে দেখা করে চলে যাবো নীলা কি বাসায় আছে আন্টি ?
আন্টিঃ হ্যা বাবা নীলা ওর রুমে আছে।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি আমি দেখছি।
আন্টিঃ আচ্ছা যাও।

তারপর নীলার রুমে যেতেই একটা আওয়াজ শুনেই থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। নীলা কার সাথে যেনো ফোনে হেসে হেসে কথা বলছে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।

নীলা আমার আাসার উপস্থিতি ডের পেয়ে থতমত খেয়ে শুয়া থেকে এক লাফে বিছানা ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলো আমি ততক্ষণে নীলার কাছে চলে এসেছি। নীলা আমাকে দেখে বিচলিত অভাক চোখে বলতে লাগলো।
নীলাঃ তু-তু- তুমি আমার বাসায় কখন আসলে!

আমিঃ কেনো তোমার বাসায় কি আসতে পারি না নাকি আসতে বারণ আছে?
নীলাঃ না মানে সেটা বলি নি তু-তুমি আজ হঠাৎ আমার বাসায় ক কি মনে করে আসলে।
আমিঃ এতো তুতলাচ্ছো কেনো কি হয়েছে তোমার আর কার সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছিলে?

নীলাঃ কয় কিছু না তো। আআমার এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম। এতো প্রশ্ন না করে এখন তাড়াতাড়ি বলো কেনো এসেছ?

আমিঃ এতো তাড়া করছো কেনো? আমি যে তোমার কাছে এসেছি সেটা কি তুমি একটুও খুশি হওনি।
নীলাঃ এতে খুশি হবার কি আছে। কি জন্য এসেছ সেটা বলো আমার কাজ আছে!

আমিঃ ওহ আমার থেকে তোমার কাজের প্রয়োজন বেশি হয়ে গেলো এখন বাহ ভালো কয়েকদিন পর আমাদের বিয়ে আর তুমি আমার সাথে এসব কেনো করছো কেনো বলো?(একটু জোরে)
নীলাঃ আমি আবার কি করলাম তোমার সাথে!

আমিঃ বাহ তুমি দেখছি আগের থেকে অনেকটা বদলে গেছো! আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে তুমি খুব ভালোই আছো তাই না।

নীলাঃ খারাপ থাকার প্রশ্নই আসে না ভালো আছি বলেই তো এতদিন বেচে আছি এখন তোমার সাথে কথা বলার সময় নেই আমার কাজ আছে তুমি এখন আসতে পারো!

আমিঃ এখানে চলে যাওয়ার জন্য আসেনি তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি।
নীলাঃ কি বলতে চাও তাড়াতাড়ি বলো!

আমিঃ তুমি কি আমাকে সত্যি কারের ভালোবাসো নাকি এসব নাটক শুরু করেছ
নীলাঃ আমি কোনো নাটক করছি না।

আমিঃ তাহলে আজ এতদিন পর দেখা হলো কয় বললে না তো আমি কেমন আছি কিভাবে আছি! আমার অবস্থার কথা একবারও জানতে চাইলে না খোজ নিলে না তুমি। কেনো এমন করছো আর ফোনে কথা বলছো না কেনো? বলো জবাব দাও নীলা…

নীলাঃ নিশ্চুপ—
আমিঃ কি হলো চুপ করে আছো কেনো আমি কিছু জানতে চাইছি!
নীলাঃ বিয়ের পর সব উত্তর পাবে এখন কিছু বলতে পারবো না। আর এখন বলারও প্রয়োজন মনে করি না এখন আসতে পারো তুমি!

আমিঃ বিয়ের পরে নয় নীলা এখনি তোমাকে সবকিছু আমায় বলতেই হবে নয়তো আমি যাচ্ছি না। কেনো আমার সাথে এমন করছো তা আমাকে আজ জানতেই হবে নয়তো আমি যে শান্তি পাবো না এ কয়েকদিন।

নীলাঃ বললাম তো আমি পারবো না এখন বলতে। যদি বেশি রকম করার চেষ্টা করেছো তো এ বিয়ে বন্ধ করে দিবো আমি ভালোই ভালোই বলছি যদি তোমার ভালো চাও তো এখন আসতে পারো গুডবাই। (রেগে) এ বলে চলে গেলো!

আমিঃ নীলা দাড়াও প্লিজ আমার কথাটা একবার শুনো প্লিজ উফ চলেই গেলো এখন কি করি এখন কিছুই তো জানতে পারলাম না।
নীলা কেনো আমার সাথে এভাবে রেগে রেগে কথা বলছে আগে তো এমন ছিলো না আবার কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা বা বিয়ে বন্ধ করে দিতে পারে তাই চলে যাওয়াটাই ভালো এর পিছনে কিছু একটা কারন আছে সেটাও বলছে না এসব করার মানেটা কি?

যাই হোক এখন মাথা না ঘামিয়ে বিয়ের পরে জানা যাবে এসবের বিষয়গুলো। তারপর না হয় দেখা যাবে কারনটা কি। তারপর না হয় বুঝাবো সেদিন এভাবে আমাকে কষ্ট দেওয়া হুম।

তারপর আন্টির সাথে কিছু কথা বলে বাসায় বাসায় চলে আসি।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসলো।

আজ আমার বিয়ে অথচ নীলা এ পর্যন্ত আমার সাথে ফোনে একটি বারের জন্যেও কথা বলেনি আমিও বিরক্ত করতে চাইনি।

সবাই বিয়েতে হাসি-খুশি থাকলেও খুশি নেই। একজনের মন তার দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে কাউকে বুঝতে দেইনি মনের গোপন কথা গুলো। জানি না আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে।

হ্যা আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে নিজেও জানি না আমি।

তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ভালোভাবে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলো।
এখন রাত ১২টা ছাদে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পর বন্ধুরা সকলে মিলে জোর করে আমাকে বাসর রুমে ঢুকিয়ে দিলো। তারপর দরজা লাগিয়ে নীলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি নীলা মাথায় বড় ঘোমটা দিয়ে খাটের মাঝখানে বসে আছে।

আমি মন ভার করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছি তার সামনে। আমাকে এখন কি করা উচিৎ সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হওয়ার পরে তো আমার খুশি হওয়ার কথা কিন্তু মন খারাপ কেনো? আর হবেই বা না কেনো তার ব্যবহার। তার অবহেলা যে আমাকে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্তে ভালো থাকতে দেইনি কি করে খুশি থাকে বলেন।

তারপর কিছু না ভেবেই ওর পাশে বসলাম। মনে কিছুটা রাগ অভিমান থাকলেও সেটা ভালোবাসার কাছে ঠিকই হার মানতে হয়।
নীলাকে ভেবেই ঘোমটা সরাতেই বড়সড় একটা শকট খেলাম। এ আমি কাকে দেখছি! তাকে দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আসলে সে.. ?

Address

Rajshahi

Telephone

+8801313881660

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ovishopto Valobasha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ovishopto Valobasha:

Share